অলিভ ওয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেলন সমৃদ্ধ, অ্যান্টিব্যাক- টেরিয়াল উপাদান যা ত্বক এবং চুলের যত্নে অনেক উপকারি ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ই, লৌহ, খনিজ, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম কী নেই ছোট্ট এই ফলে। চুল, ত্বক এবং খাবারে বেশ জাদুকরি জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল। নিয়মিত অলিভ ওয়েল ব্যবহার করলে ম্যাজিকের মতো পরিবর্তন আপনি নিজে বুঝতে পারবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ
১) ত্বকে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে অলিভ ওয়েল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক হবে হাইড্রেটেড এবং ত্বক হবে সজীব ও প্রাণবন্ধ। অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে থাকে।
২) রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার মুখে অলিভ ওয়েল মুখে নাইট ক্রিম এর পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। এতে মুখের ত্বক অনেক হিল হয় এবং সকালে ত্বক অনেক উজ্জ্বল দেখায়।
৩) মুখের মৃত কোষ তুলতে অলিভ ওয়েল এর সাথে চিনি মিশিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে মুখের সব মৃত কোষ উঠে যায় এবং ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস উঠে যায়।
৪) চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অলিভ ওয়েল দিনে ২ বার চোখের নিচে ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। চর্ম রোগের কারণে আমাদের ত্বকে দাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ ধরনের দাগ দূর করতে অলিভ ওয়েল হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
৫) অলিভ ওয়েল মুখে দিলে মুখে ম্যাসতা ও ব্রণের দাগ দূর হয়। অলিভ ওয়েলে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য যার কারনে ত্বকে মশ্চারাইজার ভুমিকা রাখে এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়।
৬) চুলে নিয়মিত অলিভ ওয়েল দিলে চুল তাড়াতাড়ি সাদা হয় না, চুলের খুশকির সমস্যা দূর হয়, চুল হয় লম্বা ও আকর্ষণীয়।
৭) বড়দের পাশাপাশি ছোটদের ত্বকের জন্য অলিভ ওয়েল খুব উপকারী, অলিভ ওয়েল বাচ্চাদের ত্বককে করে কোমল ও সুন্দর।
৮) অলিভ অয়েল ব্যবহার করল শরীরে কম ঘনত্ব খারাপ কোলেস্টেরল কমে যাবে। আবার ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে অনেক ভুমিকা রাখে, যা শরীরের জন্য খুব ভালো। অলিভ অয়েল আপনার হার্টের জন্য ভালো।
৯) রোদে পোড়া ভাব ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়।
অলিভ ওয়েলে রয়েছে অনেক উপকারী গুন। যাদের এলার্জি ও চর্মরোগের সমস্যা আছে নিয়মিত অলিভ ওয়েল ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে কোনো পার্শ্ব- প্রতিক্রিয়া নেই তাই নিরভয়ে প্রতিদিনের রূপ চর্চায় এটি ব্যবহার করা যায়।
সম্মানিত ভিজিটর আমি নজরুল ইসলাম,পেশায় আমি একজন ব্লগ লেখক। প্রযুক্তি ও শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কে লেখাই আমার প্রিয়। এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটরদের সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য।