মাদারবোর্ড কি? মাদারবোর্ডের কার্যপদ্ধতি ও যন্ত্রাংশ

একটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীন জংশন সেগুলোর মধ্যে মাদারবোর্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মাদারবোর্ড কি, কিভাবে কাজ করে, বিভিন্ন প্রকার মাদারবোর্ড ও মাদারবোর্ডের গঠন সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।

কম্পিউটারের ইন্টার্নাল স্ট্রাকচারের মধ্যে মাদারবোর্ড একটি আবশ্যক ডিভাইস। কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ পার্টসগুলো, যেমন- র‍্যাম, রোম, সিপিইউ, পিসিয়াই, প্যারালাল পোর্ট, পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টর, ভিডিও কানেক্টিং পোর্ট ইত্যাদি মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। কম্পিউটারের মেরুদন্ড হিসেবে পরিচিত এই মাদারবোর্ড কি এবং মাদারবোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই আলোচনায় জানতে পারবেন।

মাদারবোর্ড কি?

মাদারবোর্ড হলো একটি প্রিন্টেড ইলেকট্রনিক্স কম্পনেট যুক্ত সার্কিট বোর্ড। এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টস গুলোকে সংযুক্ত করার একটি লিংকিং মাধ্যম যার দ্বারা কম্পিউটারে সমস্ত কম্পনেটস গুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়। মাদারবোর্ড পাওয়ার সাপ্লাই এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে ইউজারের, কমিউনিকেশন গঠন করার কাজ করে।

মাদার বোর্ড কাকে বলে?

যে ডিভাইসের সাথে কম্পিউটারের অন্যান্য সকল ডিভাইস যুক্ত হয়ে একটি পরিপূর্ণ কম্পিউটার তৈরী করা হয় তাকে মাদাবোর্ড বলে। মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের মেরুদন্ড। এটি কম্পিউটারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্টস। এটি কম্পিউটারের সমস্ত পার্টসগুলোকে একত্রিত করে তোদের মধ্যে কমিউনিকেট করার কাজ করে।

মাদারবোর্ড কি কি কাজ করে?

এই মাদারবোর্ড ডিভাইস হল কম্পিউটারের একটি প্রধান অংশ। এই ডিভাইসটি অনেকগুলো কাজ পরিচালনা করে নিম্নে সেগুলো বিস্তারিত দেওয়া হল :-

  • এই ডিভাইসটি কম্পিউটারের সকল অংশকে একত্রে সংযুক্ত করে।
  • এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠায়।
  • এই ডিভাইসটি এক রকমের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে এবং এর উপর নানা ধরনের এক্সপেনশন বা বিস্তারকারী স্লটস থাকে।
  • এই ডিভাইসটি ডাটা আদান-প্রদানের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
  • মাদারবোর্ডের যন্ত্রের অংশগুলো বিভিন্ন আকারের হয়।
  • কম্পিউটার চালু করার জন্য বায়োস সেটিংস কে সুরক্ষিত করে।

মাদারবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?

মাদারবোর্ড তার গঠন ও কাজের উপর নির্ভর করে ৫ ভাগে বিভক্ত। যেমন :-

  • স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স মাদারবোর্ড ( Standard ATX Motherboard)
  • মাইক্রো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Micro ATX Motherboard)
  • ন্যানো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Nano ATX Motherboard)
  • মিনি এটিএক্স মাদারবোর্ড (Mini ATX Motherboard)
  • পিকো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Pico ATX Motherboard)

নিচে এসকল মাদারবোর্ড কিভাবে ব্যবহৃত হয় তা তুলে ধরা হলোঃ

(১) স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স মাদারবোর্ড – (Standard ATX Motherboard)

অন্যান্য মাদারবোর্ডের তুলনায় স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স মাদারবোর্ড অনেক বেশি এফিসিয়েন্সি টেকনোলজি রয়েছে। এতে অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন রেম ব্যবহার করা যায়। এই মাদারবোর্ড গুলো দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি ও প্রস্থ 13 ইঞ্চি হয় । এগুলো হাই কনফিগারেশন পিসিতে ব্যবহার করা হয়।

(২) মাইক্রো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Micro ATX Motherboard)

মাইক্রো এটিএক্স মাদারবোর্ড স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স মাদারবোর্ডের তুলনায় আকারে ছোট। এটি হলো বর্গাকৃতির ৯.৬ × ৯.৬ ইঞ্চির। এটি আকারে ছোট হওয়ায় এর মধ্যে খুব বেশি স্লট থাকে না। তবে প্রোয়োজনে এতে আলাদা স্লট লাগানো যায়।

(৩) ন্যানো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Nano ATX Motherboard)

২০০৫ সালে সর্বপ্রথম ন্যানো এটিএক্স মাদারবোর্ড বাজারে আসে। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি Fully integrated যা -২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট ও +৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় অপারেট করা যায়। এটি আকারে অনেকটা ছোট।

(৪) মিনি এটিএক্স মাদারবোর্ড (Mini ATX Motherboard)

এই মাদারবোর্ড কিছুটা ছোট আকৃতির হাওয়ায় একে মিনি এটিএক্স মাদারবোর্ড বলা হয়। তবে এটি ছোট হলেও অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন। এটি তুলনামূলকভাবে ছোট হওয়ায় এতে বেশি পরিমাণ কেবল গ্যালারি ব্যবহার করা যায় না। তবে কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এতে কার্ড আপগ্রেট করা যায়। এটি বর্গাকৃতির ৬.৭ × ৬.৭ ইঞ্চি।

(৫) পিকো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Pico ATX Motherboard)

২০০৮ সালে পিকো এটিএক্স মাদারবোর্ড সর্বপ্রথম মার্কেটে আসে। এর আকার হলো ১০ × ৭.২ সেন্টিমিটার। পিকো এটিএক্স এর প্রচার হয় ভায়া টেকনোলজি নামে একটি বিদেশি সংস্থাপক ব্রান্ড দিয়ে।

মাদারবোর্ডের বিভিন্ন অংশের নাম ও বর্ণনা

মাদারবোর্ড কি কি অংশ নিয়ে গঠিত, তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অংশের নাম ও বর্ণনা দেয়া হলোঃ

  • র‍্যাম স্লট
  • রোম চিপ
  • সিপিইউ চিপ
  • পিসিয়াই স্লট
  • প্যারালাল পোর্ট
  • ভিডিও কানেক্টিং পোর্ট
  • সিরিয়াল পোর্ট
  • PS2 পোর্ট
  • FDC পোর্ট
  • পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টর
  • IDE পোর্টরি
  • CMOS ব্যাটারি
  • নর্থব্রিজ এবং সাউথব্রিজ

র‍্যাম স্লট (Ram Slot)

একটি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি হলো র‍্যাম। আধুনিক মাদারবোর্ড গুলোতে ফর্ম ফ্যাক্টর এবং মাদারবোর্ডের মানের উপর নির্ভর করে ২ থেকে ৮টি র‍্যাম স্লট থাকে। ল্যাপটপে বা ডেস্কটপে ডাউনলোড করা সফটওয়্যার, বিভিন্ন তথ্য গুলো র‍্যামের মধ্যে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। এজন্য একে Temporary Memory Element ও বলা হয়।

রোম চিপ (Rom Chip)

রোম একটি মেমোরি ডিভাইস। র‍্যাম ও রোম দুটোই মেমোরি ডিভাইস। তবে র‍্যামের বিপরীতমুখী কাজগুলো রোম করে থাকে। রোম যেকোন তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত করে রাখে।

সিপিউ চিপ (CPU Chip)

মাদারবোর্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সিপিইউ চিপ। সিপিইউ এর পূর্ণরুপ হল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit)। সিপিইউ চিপ হলো অসংখ্য পিনযুক্ত এমন একটি অংশ যা মাদারবোর্ডের সাথে প্রসেসরকে যুক্ত করে। সিপিইউ চিপ হচ্ছে মাদারবোর্ড কিভাবে কাজ করবে এবং কম্পিউটারের সকল ফাংশনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। মাদারবোর্ডের সিপিইউ চিপ কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার, ফাংশন কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করে।

পিসিআইই স্লট (PCIE Slot)

পিসিআইই স্লট কম্পিউটারের অন্যান্য অংশের সঙ্গে অনেক দ্রুত গতির সংযোগ তৈরির ব্যবস্থা করে। পিসিআইইয়ের স্লটটি অনেকটা RAM এর স্লটের মত দেখতে। PCIE এর পূর্ণরুপ হলো Peripheral Component Interconnect Express। মাদারবোর্ডের বাইরে যে কোন ডিভাইসকে এই স্লটে ইন্টারকানেক্ট করা যায়। যেমন: স্যাটেলাইট রিসিভার, টিভি টার্নার, ওয়াইফাই এডাপটার ও বিভিন্ন কন্ট্রোলারকে মাদারবোর্ডের পিসিআই স্লটে সংযুক্ত করা যায়।

ভিডিএ কানেক্টিং পোর্ট (VDA Connecting Port)

ভিডিএ কানেক্টিং পোর্টটি ব্যবহার করা হয় মাদারবোর্ডের ডিসপ্লে কানেক্ট করার জন্য । ভিডিএ কানেক্টিং পোর্টের একটি সুবিধা হল এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়। পি সি আই স্লট ব্যবহার করে ভিডিএ কানেক্টিং পোর্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়।

প্যারালাল পোর্ট (Peraral port)

ইউ এস বি ক্যাবল দিয়ে ল্যাপটপের যে পোর্টের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ দেয়া হয় তার নাম হচ্ছে প্যারালাল পোর্ট। মাদারবোর্ডের প্যারালাল পোর্টের সাথে স্ক্যানার ও প্রিন্টার সংযোগ দেয়া হয়। প্যারালাল পোর্টটি ২৬ পিন বিশিষ্ট হয়। মাদারবোর্ড কিছু প্রিন্টার, স্ক্যানারকে সংযোগ দিতে প্যারালাল পোর্টে সংযোগ দেয়া হয়।

সিরিয়াল পোর্ট (Serial Port)

মাউস, ইন্টারনেট মডেম বা মাউস ল্যাপটপের যে পোর্টে সংযোগ দেয়া হয় তার নাম হল সিরিয়াল পোর্ট। এই পোর্টটি মাদারবোর্ডের Asynchronous port। এটি কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সিরিয়াল ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই পোর্টের মাধ্যমে ০১ বিট ডাটা ট্রান্সফার করা যায়।

পিএস-০২ পোর্ট (PS-02 port)

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে মাউস সংযুক্ত করার জন্য যে পোর্ট লাগানো থাকে সেটিই হল PS2 পোর্ট। কম্পিউটারের বিখ্যাত হার্ডওয়ার নির্মাতা আইপিএল কোম্পানি দ্বারা বোর্ডের সঙ্গে মাউস এবং কিবোর্ড সংযুক্ত করার জন্য পিএসটু পোর্ট তৈরি করা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে পিএস২ পোর্ট এর পরিবর্তে ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করা হয়। ইউএসবি পোর্ট পিএস২ এর তুলনায় অনেক কার্যকরী।

এফডিসি (FDC)

FDC এর পূর্ণরূপ হল Floppy Disk controller। এটি একটি স্পেশাল ডিস্ক কন্ট্রোলার সার্কিট। এটি কম্পিউটারের ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ থেকে যেকোন তথ্য রিডিং এর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া এটি রাইটিং এর ও নির্দেশ দিয়ে থাকে।

পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টর

মাদারবোর্ড কিছু পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় পাওয়ার কানেক্টর। আর মাদারবোর্ড সেই পাওয়ার অন্যান্য ডিভাইস গুলোতে পৌঁছে দেয়। এই ডিভাইসটি পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টরের সাহায্যে সম্পূর্ণ সার্কিটে পাওয়ার পৌঁছে যায়। এটি কম্পিউটারকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য একটি পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে। যেমন ৩.৩ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট, ১২ ভোল্ট পর্যন্ত হতে পারে।

আই ডি ই (IDE)

আ ডি ই কন্ট্রোলার হল এক প্রকার হোস্ট এডাপ্টার। এটি স্টোরেজ ডিভাইস ও লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে। এটি ইউএসবি, ফায়ারওয়্যার এবং অন্যান্য সিস্টেম গুলোকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি হোস্ট অ্যাডাপ্টার, যা হোস্ট বাস অ্যাডাপ্টার বা হোস্ট কন্ট্রোলার নামেও পরিচিত।

সিএমওএস ব্যাটারি (CMOS Battery)

সিএমওএস (CMOS) এর পূর্ণরুপ হলো কমপ্লিমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড-সেমিকন্ডাক্টার ব্যাটারি (Complementary Metal-oxide-semiconductor battery । যখন কম্পিউটার অফ হয়ে যায় তখন এই ছোট ব্যাটারিটি থেকেই বিদ্যুৎ নিয়ে সিএমওএস কম্পিউটারের মেমোরিকে তথ্য সংরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।এই ব্যাটারিটিকে লিথিয়াম কয়েন সেল দিয়ে তৈরি করা হয়। CMOS ব্যাটারি, যা মেমোরি ব্যাটারি, ক্লক ব্যাটারি নামেও পরিচিত। তিন বছর পর্যন্ত এই ব্যাটারীতে তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয় না।

আরো পড়ুন: হার্ডওয়্যার কি? বিভিন্ন প্রকার হার্ডওয়্যার

নর্থব্রিজ এবং সাউথব্রিজ (North Bridge & South Bridge)

২০০০ সালের দিকে নর্থব্রিজ ও সাউথব্রিজকে প্রতিস্থাপন করে ইন্টেল হাব আর্কিটেকচার (Intel Hub Architecture) বা আইএইচএ (IHA)। আইএইচএ (IHA) এর মূলত দুইটি অংশ ছিল । প্রথমত, গ্রাফিক্স অ্যান্ড এজিপি মেমোরি কন্ট্রোল হাব বা জিএমসিএইচ (Graphics and AGP Memory Control Hub – GMCH)। নর্থ ব্রিজকে GMCH অংশটি প্রতিস্থাপন করেছিল।

নর্থব্রীজ, যা হোস্ট ব্রিজ বা মেমোরি কন্ট্রোলার হাব নামেও পরিচিত। এটি ফ্রন্ট-সাইড বাস এর মাধ্যমে সরাসরি সিপিইউতে সংযুক্ত থাকে। কম্পিউটারের যে কাজগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটি প্রয়োজন এই চিপটি সেসমস্ত কাজে সাহায্য করে।

অন্যদিকে আইএইচএ এর দ্বিতীয় অংশ আইসিএইচ তথা ইনপুট আউটপুট কন্ট্রোল হাব প্রতিস্থাপন করেছিলো সাউথব্রিজকে। সাউথব্রিজ একটি কম্পিউটার আর্কিটেকচারে মাদারবোর্ডের ধীর হওয়ার প্রবণতা তৈরি করতে সক্ষম।

শেষকথা

একটি কম্পিউটারের জন্য মাদারবোর্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইন্টার্নাল ডিভাইস। উপরোক্ত আলোচনায় মাদারবোর্ড কি এবং মাদারবোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলেন। এর সঠিক ব্যবহার করতে মাদারবোর্ডের বিভিন্ন পার্টস সমূহের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

Scroll to Top