টমেটো হলো সবার পছন্দের একটি সবজি। যদিও এর উৎপত্তি বাংলাদেশে নয় এর উৎপত্তি ম্যাক্সিকতে। টমেটো শীতকালীন সবজি হলে ও প্রায় সারা বছর সবার ফ্রিজে থাকে। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’, যা উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে লাইসোপিন নামে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা দূর করে ত্বককে মসৃণ করে। আপনি শুনলে অবাক হবেন আপনার ফ্রিজে রাখা টমেটো দিয়ে আপনি সেরে ফেলতে পারেন আপনার রূপ চর্চার কাজ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক রূপ চর্চায় টমেটোর ব্যবহারঃ
১) ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে টমেটো ক্লিংজ্ঞার হিসাবে কাজ করে। টমেটোর রস বের করে তা মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২) রোদে পোড়া দাগ দূর করতে টমেটো সব থেকে বেশি কার্যকারী। টমেটোর রসের সাথে আলুর রস মিশিয়ে কালো দাগে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে শুকানোর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩) যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের ত্বকে ব্রনের সামস্যা হয় বেশি, তাই অতিরিক্ত তেল সরাতে ত্বকে টমেটোর রস ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বকে ব্রনের সমস্যা ও তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
৪) প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসাবে টমেটো ব্যবহার করা হয় যায়, এতে করে টমেটো দু ভাগ করে কেটে, কাটা অংশে চিনির গুড়া লাগিয়ে মুখে ঘষতে হবে এতে করে ত্বক ভিতর থেকে পরিস্কার হবে ও বয়সের ছাপ কমবে।
৫) গরমের দিনে ত্বকে ঘামাচি ও র্যাসের সমস্যা বেশি হয়, এর সমাধানে টমেটো ও শসা একসাথে ব্লেন্ডার করে আইস কিউব ট্রে মধ্যে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। রাতে ঘুমানো আগে এই কিউব হালকা ভাবে ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে ত্বক অনেক হাইড্রেটেড হবে এবং ঘামাচি ও র্যাস কমবে।
৬) ত্বকের জন্য টমেটো ও অ্যাভোক্যাডোর মিশ্রণ ভালো ভুমিকা রাখে। ব্ল্যাক হেডস যা অ্যাসট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে ও ত্বকের তেল এজেন্ট কন্ট্রোলে ভুমিকা রাখে।
৭) উজ্জ্বল ত্বকের জন্য মধু ও টমেটোর রস ভালভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট এরপর ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে টমেটো অনেক উপকারি। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান যাদের এলার্জি আছে তারা ঘন ঘন ব্যবহার না করে সপ্তাহে একদিন করতে পারেন।
সম্মানিত ভিজিটর আমি নজরুল ইসলাম,পেশায় আমি একজন ব্লগ লেখক। প্রযুক্তি ও শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কে লেখাই আমার প্রিয়। এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটরদের সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য।